,

বাহুবলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা :: নিরাপত্তাহীনতায় ধর্ষিতার পরিবার

বাহুবল প্রতিনিধি : বাহুবলে ১১ বছর বয়সী ব্র্যাক স্কুলের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই শিশু শিক্ষার্থীর পিতা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের স্বর্ণরেখ গ্রামের ওই শিশু শিক্ষার্থী গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে আরবী পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একই গ্রামের মৃত ছৈব উল্লাহর পুত্র আতর আলী মেয়েটিকে টেনে-হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী একটি ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ওই স্কুল ছাত্রীর শোর-চিৎকার শুনে আশপাশ ও পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে ধর্ষক আতর আলী পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানির পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সালিশের নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থীর পিতা নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই শিশু শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
নির্যাতিতার পিতা অভিযোগ করে জানান, তিনি নিরীহ প্রকৃতির লোক এবং পেশায় একজন দিনমজুর। এলাকার কিছু ব্যক্তি সালিশের নাম করে এতদিন তাকে মামলা না করতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। অবশেষে তিনি নিরুপায় হয়ে শিশু মেয়ের সুবিচারের আশায় মামলা দায়ের করেছেন। এ অবস্থায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
ভিকটিমের পিতা-মাতা ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আতর আলী এলাকায় নানান অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে রয়েছে একাধিক চুরি, ছিনতাই ও মাদকের মামলা। ইতোপূর্বে সে একাধিকবার কারাভোগও করেছে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তির কারণে সে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আতর আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বর্ণরেখ ও আশপাশের নারী পুরুষ। আতর আলীর বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে সেও তার পরিবারের উপর নেমে আসে অন্ধকার, বউ বাচ্চা নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় তাদেরকে।
বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আতর আলীর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর